সকলে মোরা নয়ন ফুটাই আলো জ্বালি সব প্রাণে
নব নব পথ চলিতে শেখাই জীবনের সন্ধানে।
পরের ছেলেরে এমনি করিয়া শেষে
ফিরাইয়া দেই পরকে আবার অকাতরে নিঃশেষে।
শিক্ষক মোরা শিক্ষক,
মানুষের মোরা পরমাত্নীয় ধরণীর মোর দীক্ষক।
পিতা গড়ে শুধু শরীর, মোরা গড়ি তার মন,
পিতা বড় কিবা শিক্ষক বড়- বলিবে সে কোন জন ?
শিক্ষকতা নিছক বক্তা নন। তিনি আর্শ্চর্য, জ্ঞানবুদ্ধ। তার মুথ নিঃসৃত কথা বক্তৃতা নয়- তা হবে বাণী। বক্তৃতা শ্রোতার উত্তেজিত করে , বানী শ্রোতার অন্তরে মনি দ্বীপ জ্বেলে দেয়। শিক্ষার আসল কাজ জ্ঞান পরিবেশন নয় ; মূল্যবোধ সৃষ্টি। শিক্ষকের সার্থকতা শিক্ষাদান করায় নয়, ছাত্রকে তা অর্জন করতে সক্ষম করায়। নিছক জ্ঞান দান শিক্ষার উপজীব্য বিষয় নয়। শিক্ষার্থীকে বিকশিত করে তোলাই শিক্ষার কাজ।
যে শিক্ষায় মনুষ্যত্বের বিকাশ হয়, যাহার ফলে দেহে স্বাস্থ্য ও চিত্তে প্রসন্নতা জন্মে, যাহা মানুষকে আত্নার বলে বলীয়ান করে। দুঃখকে নির্মূল করবার চেষ্টা পায়, একজন শিক্ষক এমন শিক্ষাই দান করবেন।
প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের ভিত কত মজবুত তা নির্ভর করে সেই রাষ্ট্রের তরুণ সমাজের শিক্ষার উপর। বিদ্যালয়ের শিক্ষক হইতেছেন একজন মিস্ত্রি, যিনি গঠন করেন একজন মানবাত্না। একজন শিক্ষকের উপরই বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ । এত বড় দায়িত্বকে তার কোন মতেই অবহেলা করা উচিত নয়।
ছালমা খানম
প্রধান শিক্ষক